উপকূলীয় গলাচিপা উপজেলা পরিষদের সামনে সিপিপি’র মেঘা সাইরেনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কাজে আসছে না দীর্ঘ বছর ধরে।
এছাড়াও উপজেলার সিপিপি অফিসে ভিএইচএফ ( ভেরি হাই ফিকোয়েন্সি) ওয়ারলেস সেটাও বিকল থাকায় আবহাওয়ার খবরা খবরের জন্য ভরসা করতে হচ্ছে মোবাইল ফোনের ওপর।
দুর্যোগকালীন সময় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলে চরম বিপাকে রয়েছে ১৩৫টি ইউনিটের ২৭০০ স্বেচ্ছাসেবক। জানা গেছে, ঘুর্ণিঝড়ের মহা বিপদ সংকেত প্রচারে জাইকার অর্থায়নে স্থাপন করা হয়েছিলো পলিফোনিক সাইরেন। স্থাপনের সময় সাইরেনটি বাজলেও বর্তমানে সাইরেন আছে কিন্তু নেই তার কোন শব্দ হয় না। বিকল অবস্থায় পরে আছে দীর্ঘ বছর।
এছাড়াও অফিসের ভিএইচএফ ওয়ারলেস সেট নষ্ট থাকায় ফলে মহাবিপদ সংকেত এর সময় স্থানীয়রা বুঝতেই পারেনা দুর্যোগের বিষয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০০৭ সালে সুপার সাইক্লোন সিডরে বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। পরবর্তিতে ঘুর্ণিঝড়ের ছোবল থেকে মানুষকে বাঁচাতে মহাবিপদ সংকেত প্রচারের জন্য ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে গলাচিপা উপজেলা পরিষদের সামনে স্টিলের পাইপে উঁচু করে স্থাপন করা হয় পলিফোনিক সাইরেন। ৬টি ছোট মাইক সংবলিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই পলিফোনিক সাইরেনটির আওয়াজ তিন বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম।
কেবল ৮নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর প্রয়োজন হলে এ ধরণের সাইরেন বাজিয়ে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু দুর্যোগের সময় এই সাইরেনটি কোনো কাজেই আসছে না। এটি নষ্ট হয়ে রয়েছে দ্বীর্ঘ ৯ বছর ধরে।
এদিকে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আঘাত হানতে শুরু করেছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আবহাওয়া দপ্তর ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করেছেন। অথচ এই মহা বিপদ সংকেতে পরিফোনিক সাইরেনটি বাজানোর কথা থাকলেও দ্বীর্ঘদিন অকেজো থাকার কারণে সেটি বাজানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা টিম লিডার আবু হেনা মুহাম্মাদ শোয়েব বলেন, মেঘা সাইরেনটির মাইক ভালো আছে তবে এটি চালাতে হলে যে যে সবকল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা নষ্ট আছে। তাই এটি বাজানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, মহাবিপদ সংকেত প্রচারের জন্য উচ্চক্ষমতার এই সাইরেনটি বসানো হয়েছিল। এটির ক্ষমতা ৩ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে সাইরেনটি অকেজো।
এছাড়াও অফিসে বসানো ভিএইএফ সেটও নষ্ট আছে। তাই আমরা আপাতত মোবাইল ফোনে তথ্য সংগ্রহ করে থাকি। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হলে তখন বিকল্প চিন্তা করা হবে। গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আজই শুনলাম এ সাইরেনটি বিকল হয়ে আছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জেনে কর্তপক্ষকে জানানোর ব্যবস্থা করছি।